কটেজ পনির
কটেজ চিজ একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার যা আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এটি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের একটি ভালো উৎস। কটেজ চিজ রান্না করলে গলে যায় না।তাই,কটেজ চিজের বহুমুখী ব্যবহারের কারণে, এটি আপনার খাবারকে আরও আকর্ষণীয় এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
কটেজ পনিরের পুষ্টিগত উপকারিতা
>প্রোটিনের ভালো উৎস : পনির প্রোটিনের একটি ভালো উৎস, বিশেষ করে নিরামিষভোজীদের জন্য। এতে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড রয়েছে, যা শরীরের সঠিক কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়।
>ওজন কমানোর জন্য ভালো : পনির কম কার্ব এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, যা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট পূর্ণ রাখে।
> রক্তে শর্করা ব্যবস্থাপনায় সহায়ক : পনিরে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড থাকে, যা ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করতেও সহায়ক।
> হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো : ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের একটি ভালো উৎস হলো পনির। এটি হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয়।
> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : পনিরে রয়েছে উচ্চ মাত্রার জিংক, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সর্দি, ফ্লু ও সংক্রমণের মতো সাধারণ অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
>মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো : পনির ভিটামিন বি-১২-এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। ভিটামিন বি-১২ ভালো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এটি স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতি পূরণে নিরামিষভোজীরা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পনির যুক্ত করতে পারেন।
> স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায় : পনির হলো ট্রিপটোফ্যানের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। সেরোটোনিন মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, চাপ ও উদ্বেগ হ্রাস করে।
সঠিক পুষ্টি পেতে যা করণীয়ঃ ডিপফ্রাই করলে পনিরের প্রোটিন অনেকাংশে নষ্ট হয়ে যায়। পনির থেকে সঠিক পুষ্টি পেতে কম ভেজে রান্না করে খেতে পারেন।